|
বিএনপি নেতা-কর্মীদের চাঁদাবাজি করতে দিয়েছি, সান্টুর বক্তব্যের ভিডিও ভাইরাল!
বিএনপি নেতা-কর্মীদের চাঁদাবাজি করতে দিয়েছি, সান্টুর বক্তব্যের ভিডিও ভাইরাল!
|
|
নিজস্ব প্রতিবেদক ::: বেফাঁস কথা বলে আবারও নেতিবাচক আলোচিত হলেন বরিশাল- ২ (বানারীপাড়া-উজিরপুর) আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী বিএনপি নেতা সরদার সরফুদ্দিন সান্টু। বিএনপি নেতাকর্মীদের চাঁদাবাজীতে উৎসাহিত করতে তার একটি বক্তব্যর ভিডিও গত দুই/তিন দিন যাবত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। জানা গেছে, সান্টু বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য, উজিরপুর উপজেলা সভাপতি ও দক্ষিন জেলা কমিটির সদস্য। আওয়য়ামী লীগের প্রায় পুরো সময়ে বিদেশে ছিলেন। ৫ আগষ্টের পর দেশে ফিরেন। তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে বেপরোয়া চাঁদাবাজী ও দখলের অভিযোগ রয়েছে। নির্বাচনী এলাকায় আধিপত্য নিয়ে স্থানীয় নেতাকর্মীদের একাংশের সঙ্গে প্রকাশ্যে বিরোধে জড়ান সান্টু। বিভিন্ন সভাতে বেফাঁস কথা বলে তিনি আলোচিত হচ্ছেন। দলের একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছে, গত জুলাইতে বানারীপাড়া উপজেল ও পৌর বিএনপির ত্রিবার্ষিক সম্মেলন হয়। এতে গঠিত নতুন কমিটির সঙ্গে মতনিবিনিময় সভায় সান্টু নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে উল্লেখিত কথা বলেন। এর ভিডিও শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ানো হয়। তিনি নিশ্চিত করেন, ওই সভাটি হয়েছে উজিরপুরের গুঠিয়ায় সান্টুর বাইতুল ভিউ কনভেশন হলে। সভাতে সান্টু চাঁদাবাজী সংক্রান্ত কথাগুলো বলেছেন। বেখেয়ালে মুখ ফসকে এসব কথা বলেছেন বলে মনে করছেন মাহবুব মাষ্টার। তবে বানারীপাড়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ মৃধা এ প্রসঙ্গে বলেন, ডিভিওটি আমি দেখেছি। ওটি কোন সভার তা চিহিৃত করতে পারিনি। আমার ধারনা এটি কাটপিস করে তৈরী করা হয়েছে। বরিশাল- ২ আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী কেন্দ্রীয় বিএনপির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সহ সম্পাদক কাজী রওনাকুল ইসলাম টিপু নিশ্চিত করেন, কোন কাটপিস নয়, ভিডিওর পুরোটা দেখলে নিশ্চিত হওয়া যায় সান্টু এ বক্তব্য দিয়েছেন। টিপু ক্ষুদ্ধ কন্ঠে বলেন, ‘দলকে ক্ষতিগ্রস্থ করার দায়িত্ব কাউকে দেয়া হয়নি। তিনি (সান্টু) একের পর বেফাঁস কথা বলে দলকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেরছেন। দলের হাইকমান্ড- নিশ্চিয়ই এসব বিষয় দেখবে’। উল্লেখ্য, এর আগে গত ১৯ জুলই উজিরপুর ও ২০ জুলাই বানারীপাড়া উপজেলা এবং পৌর বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ দুটি সম্মেলনে সান্টু বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও তার দুই উপদেষ্টা মজিবর রহমান সরোয়ার ও সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে জড়িয়ে বক্তব্য দেন। তিনি বলেছেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার হাতে দল চালাতে ১০ লাখ টাকা দিয়ে বিএনপির রাজনীতি শুরু করেছি। ম্যাডাম কথা রেখেছেন, ৯৩ সালে ম্যাডামের সঙ্গে হেলিকপ্টারে আমি উজিরপুরে আসি, তার হাত ধরে বিএনপিতে যোগদান করি। ফালু (মোসাদ্দেক হোসেন ফালু) ভাই সব জানে’। সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলালের উদ্দেশ্যে বলেন, তাকে নামিনেশন এনে দিয়ে ভোটে জেতাতে ৬ লাখ টাকা দিয়েছি। অইয়াই আমারে বাঁশ দেওয়া শুরু করছে। আমাকে মামলায় দিয়েছে’। সরোয়ারকে হুশিয়ারী দিয়ে বলেন, ‘সেই দিন ভুইল্লা যান। আমারে আঙ্গুল দিয়েন না। আমি কিন্তু বরিশালে একবার ভোট করেছি, আবারও করে দেখাবোা’। তার এ বেঁফাস বক্তব্যে তখন দলের চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট মজিবর রহমান সরোয়ার ও অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। |