|
প্রেম থেকে বিয়ে অতঃপর অপহরণ ও ধর্ষণ মামলা
প্রেম থেকে বিয়ে অতঃপর অপহরণ ও ধর্ষণ মামলা
|
|
নিজস্ব প্রতিবেদক।। বরিশাল সদর উপজেলাধীন ৮ নং চাঁদপুরা ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড চরপত্তনিয়া গ্রামে রাজার ব্রিজ সংলগ্ন অরুণ খান এর মেয়ে উম্মে হাবিবা এর সাথে প্রেম থেকে বিয়ে একই গ্রামের প্রতিবেশী বাসিন্দা বাচ্চু হাওলাদারের ছেলে সিয়াম হাওলাদার সাথে। এ ঘটনার জের ধরে উম্মে হাবিবা এর পিতা মো: অরুণ খান বাদী হয়ে বরিশালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে এমপি মামলা করেন যাহার এমপি কেস নং৯২/২০২৫ তারিখ ২৪/২/২০২৫ বন্দর থানা অতঃপর উপস্থিত বিজ্ঞ বিচারক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম জেলা ও দায়রা জজ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল বরিশাল বন্দর থানা কে এফ আই আর ভুক্ত করার নির্দেশ দেন । যাহার বন্দর থানা মামলা নং ১১তারিখ ২৬/০২/২০২৫ ধারা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০(সংশোধিত ২০০৩)এর ৭/৯ (১)/৩০অপহরণ পূর্বক ধর্ষণ সহায়তা করার অপরাধ। আসামিরা হলেন ১.সিয়াম হাওলাদার পিতা বাচ্চু হাওলাদার ২.বাচ্চু হাওলাদার পিতা মৃত্যুর জব্বার হাওলাদার ৩.হাসিনা বেগম স্বামী বাচ্চু হাওলাদার ৪.শাহজাহান হাওলাদার পিতা মৃত্যুর জব্বার ৫.আল আমিন পিতা-মৃত জব্বার ৬.শামীম খান পিতা রেফাত আলী খান সর্বসাং খন্দাখালী থানা বন্দর জেলা বরিশাল। এ বিষয়ে সরে জমিনে তদন্তে গেলে যে চিত্র ফুটে ওঠে তা হল ছেলেমেয়ে দুজনই স্কুল পড়ুয়া তারা দীর্ঘদিন থেকে প্রেম চলতেছিল তারা একে অপরকে ভালবাসে এবং কিশোর প্রেমিক ইতিমধ্যে তারা প্রথমে নোটারি পাবলিক পরবর্তীতে কাজী অফিসের মাধ্যমে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছে। গত বছরের নভেম্বর মাসে ২১ তারিখ এভাবে তারা পালিয়ে গিয়েছিল পরবর্তীতে উভয় পক্ষের অভিভাবকের হস্তক্ষেপে এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সালিশের মাধ্যমে মেয়ের বাবার জিম্মায় মেয়েকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। বর্তমানে তারা পালিয়ে গিয়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার কারণে এই মামলাটি হয় এখন পুলিশি আতঙ্কে ৬টি পরিবার গ্রাম শূন্য। এ বিষয়ে মুঠোফোনে সাক্ষাৎকার গ্রহণ করি সাবেক চেয়ারম্যান জব্বার সিকদার এর তিনি বলেন অপহরণ এবং ধর্ষণ মামলা হয়েছে বিষয়টি আমি জানি। ছেলে মেয়ে আরো একবার পালিয়ে ছিল একই বিষয় নিয়ে বিগত ২১.১১.২০২৪ স্থানীয় সালিশ মীমাংসের মাধ্যমে মেয়ের বাবার কাছে মেয়েকে ফিরিয়ে দিয়েছিলাম। সাক্ষাৎকার গ্রহণ করি মেয়ের বাবা অরুন খান তিনি বলেন আমার মেয়ে অপ্রাপ্তবয়স্ক বিয়ে দেওয়ার এখনো সময় হয়নি তাকে অপহরণ করা হয়েছে এজন্য আমি মামলা দিয়েছি পুলিশের তথ্য অনুযায়ী আজকেও খুঁজতে গিয়েছিলাম পাইনি। অপরদিকে বন্দর থানার এসআই অতনু তাকে মুঠো ফোনে এ মামলার অগ্রগতি নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন আসামিদের গ্রেফতারের প্রচেষ্টা চলছে তারা এখন বরিশাল জেলার বাহিরে অবস্থান করছে যেকোনো সময় গ্রেপ্তারের সম্ভাবনা রয়েছে কথা হয় বন্ধ থানার অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলামের সাথে তিনি বলেন অপহরণ ও ধর্ষণ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে আসামিদের গ্রেফতারের নির্দেশনা দেওয়া আছে এবং সে অনুযায়ী গ্রেপ্তারের কাজ চলছে |