সোমবার ২০শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ই-পেপার   সোমবার ২০শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

উন্নয়নবিরোধীরা অরাজকতা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী। দখিনের সংবাদ
প্রকাশ: ১৫ ডিসেম্বর, ২০২২, ৬:২১ অপরাহ্ণ |
অনলাইন সংস্করণ

উন্নয়নবিরোধীরা অরাজকতা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী। দখিনের সংবাদ
সংবাদটি শেয়ার করুন....

ডেস্ক রিপোর্ট ।।    দেশ যখন নানা প্রতিকূলতা অতিক্রম করে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে, সে সময় স্বাধীনতা এবং উন্নয়নবিরোধী একটি গোষ্ঠী অরাজকতা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, এদের অতীত ইতিহাস দেখুন। এদের একটা অংশ শুধু বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেই ক্ষান্ত হয়নি, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর দোসর হয়ে তারা মানুষ হত্যা করেছে। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করেছিলেন। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আওতায় নিয়ে এসেছিলেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার পর অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে জিয়াউর রহমান এদের রাজনীতিতে পুনর্বাসন করেন। পুনর্বাসিত হয়ে এরা আবার হত্যা ও সন্ত্রাসের রাজনীতি শুরু করে।

বিজয় দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় বিএনপির সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আরেকটি দল যার জন্ম ও লালন-পালন সেনানিবাসে, সেই দলটির হাতে শুধুই রক্তের দাগ। এর প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান জাতির পিতার হত্যা-ষড়যন্ত্রের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। উর্দি গায়ে ক্ষমতা দখল করে সেই ক্ষমতাকে দীর্ঘস্থায়ী করতে সশস্ত্র বাহিনীর হাজার হাজার দেশপ্রেমিক সৈনিক এবং অফিসারকে হত্যা করেছে।

তিনি বলেন, এদের (বিএনপি) প্রত্যক্ষ মদদে হরকাতুল জিহাদ, বাংলাভাই, জামায়াতুল মুজাহিদিন ইত্যাদি জঙ্গি সংগঠন গড়ে ওঠে। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশে গ্রেনেড হামলা করে আমাকে এবং আমার দলের শীর্ষ নেতাদের হত্যা করতে চেয়েছিল। আমি বেঁচে গেলেও সেইদিন ২৪ জন নেতাকর্মী মারা যান। ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট সারা দেশের ৬৩ জেলায় একযোগে পাঁচ শতাধিক স্থানে বোমা হামলা চালায়।

শেখ হাসিনা বলেন, ২০১৩ সালে সারা দেশে বিএনপি-জামায়াত অগ্নি এবং পেট্রল বোমা সন্ত্রাসের এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করে। ২০১৫ সাল পর্যন্ত যা অব্যাহত থাকে। এ সময় তাদের পেট্রল বোমা হামলায় ৫০০ জন নিরীহ মানুষ নিহত হয় এবং ৩ হাজার ১৮০ জন দগ্ধ হন। দগ্ধ শরীরের যন্ত্রণা আজও অনেকেই বয়ে বেড়াচ্ছেন। এ সময় বিএনপি-জামায়াত জোট সন্ত্রাসীরা হাজার হাজার কোটি টাকার সরকারি-বেসরকারি সম্পত্তি ধবংস করে। এদের হামলায় সাড়ে তিন হাজার বাস-ট্রাক, ২৯টি ট্রেন, ৯টা লঞ্চ পুড়ে ধ্বংস হয়। ৭০টি সরকারি অফিস ও স্থাপনা ভাংচুর করে এবং ৬টি ভূমি অফিস সম্পূর্ণ পুড়িয়ে দেয়।

 




সর্বশেষ সংবাদ

আমাদের ফেসবুক পেজ

সর্বাধিক পঠিত

প্রকাশক ও সম্পাদক : মুরাদ হোসাইন
মোবাইল : ০১৭৪৬৮৩৩০৪৮

ই-মেইল: dokhinersangbad@gmail.com
অফিস : ব্রাউন কম্পাউন্ড মসজিদ সংলগ্ন , বরিশাল ।

Design & Developed by
  সরবরাহ বাড়ায় বরিশালে দাম কমছে সবজির বাজারে। দখিনের সংবাদ   আজ মহান বিজয় দিবস, বিজয় নিশান ওড়ে বাংলার ঘরে ঘরে। দখিনের সংবাদ   উন্নয়নবিরোধীরা অরাজকতা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী। দখিনের সংবাদ   বরিশালে ঝেঁকে বসছে শীত, গরম কাপড়ের দোকানে ভিড় । দখিনের সংবাদ