|
বরিশালে লম্বা হচ্ছে টিসিবির লাইন, খালি হাতে ফিরছেন অনেকে
বরিশালে লম্বা হচ্ছে টিসিবির লাইন, খালি হাতে ফিরছেন অনেকে
|
|
নিজস্ব প্রতিবেদক ::: পহেলা রমজান থেকে বরিশাল নগরীর ১০টি পয়েন্টে ট্রাকের মাধ্যমে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু হয়েছে। প্রতিটি স্পটেই নিম্ন, মধ্যবিত্ত পরিবারের দীর্ঘলাইন দেখা গেছে। কিন্তু পয়েন্টগুলোতে চাহিদার তুলনায় ট্রাকে পণ্য কম থাকায় বেশিরভাগ মানুষকে খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে। অনেক জায়গায় দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে কাঙ্ক্ষিত পণ্য না পেয়ে বাদানুবাদের খবরও পাওয়া গেছে। বরিশাল নগরীর ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সোলায়মান ব্যাপারী। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটায় নগরের বাকলার মোড়ে টিসিবির ট্রাকের সামনে দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি কোনো পণ্যই নিতে পারেননি। রিতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘সারা দিন লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার পর খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে। এরপর মুখ থেকে কি আর ভালো কথা বের হওয়ার সুযোগ আছে? সবাইকে পণ্য দিতে না পারলে ঘোষণা দেওয়ার কী দরকার ছিল’, প্রশ্ন রাখেন তিনি। তবে নিজের অসহায়ত্বের কথা তুলে ধরে টিসিবির ডিলার নাসির উদ্দিন বলেন, ‘নগরীর ঘনবসতি ও দরিদ্র এলাকায় ট্রাকসেলিং করা হয়। টিসিবির ট্রাক দেখে প্রতি পয়েন্টে যে পরিমাণ ভোক্তা উপস্থিত হন, তার তিন ভাগের এক ভাগ পণ্য আমরা পাই না। পয়েন্টে উপস্থিত সবাইকে পণ্য দিতে না পারলে সব দোষ হয় ডিলারের। প্রতিটি পয়েন্টের ডিলারকে ২০০ জনের পণ্য দেওয়া হয়। অথচ সবখানে ৪০০ থেকে ৬০০ মানুষ উপস্থিত হন।’ টিসিবি সূত্র জানায়, প্রথম রোজা থেকে বরিশাল নগরীর ১০টি পয়েন্টে ট্রাকসেলিং কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সেবাপ্রার্থীরা স্বল্প খরচে টিসিবির ট্রাক থেকে পাঁচটি পণ্য কিনতে পারেন। এর মধ্যে রয়েছে ৭০ টাকায় এক কেজি চিনি, ১২০ টাকায় দুই কেজি মসুর ডাল, ২০০ টাকায় দুই লিটার সয়াবিন তেল, ১২০ টাকায় দুই কেজি ছোলা এবং ৫০০ গ্রাম খেজুর ৮০ টাকায় কিনতে পারেন। বাজারে এসব পণ্যের কোনোটির দাম দ্বিগুণেরও বেশি। টিসিবির বরিশাল আঞ্চলিক কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক শতদল মণ্ডল বলেন, ‘রমজানের শুরু থেকে নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে ট্রাকের মাধ্যমে চাহিদাসম্পন্ন পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। এতদিন প্রতিটি ট্রাকে ২০০ জনের জন্য পণ্য দেওয়া হলেও সামনের দিনে এর পরিমাণ দ্বিগুণ করা হবে। অর্থাৎ ৪০০ জনের জন্য পণ্য দেওয়া হবে। এ ছাড়া ১০ উপজেলায় ট্রাকসেলিং কার্যক্রম শুরুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’ তিনি জানান, এরই মধ্যে নগরীর ৩০টি ওয়ার্ডের জন্য ৩১ হাজার ৫৭৪টি স্মার্ট কার্ড বিতরণ করা হয়েছে। এ ছাড়া বাতিল হওয়া এবং নতুন পরিবারের মধ্যে স্মার্ট কার্ড প্রদানের কার্যক্রম চলছে। |