নিজস্ব প্রতিবেদক ::: বরিশাল নগরীতে ছিড়ে যাওয়া তারে বিদ্যুতায়িত হওয়া গেট স্পর্শ করে হোটেল কর্মচারী সুজন (১৫) নামে এক কিশোর মারা গেছেন। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে নগরীর প্যারারা রোডে মোমিন খাবার ঘরের পাশে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

দুর্ঘটনার আগে শিশু সুজন গোসল করে পার্শ্ববর্তী হোটেলে যাওয়ার জন্য ভাড়া বাড়ি থেকে বের হচ্ছিলেন। এ সময় হাত দিয়ে গেট খুলতে গিয়ে চিৎকার দিয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়।

মৃত সুজন প্যারারা রোডের মমিন খাবার ঘরে চাকরি করতো। পটুয়াখালীর বাউফলের বাসিন্দা সুজন হোটেলের পেছনের বাড়ির একটি কক্ষে ভাড়ায় বসবাস করতো।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আলামিন বলেন, শিশু সুজন বেলা ১১টার দিকে গোসল করে হোটেলে কাজে যোগ দিতে বের হচ্ছিল। তখন আগে থেকেই একটি ছেড়া তার পরে গেট বিদ্যুতায়িত হয়েছিল। গেট খুলতে গেলেই বিদ্যুতায়িত হয়ে সুজন ‘মা’ বলে একটি চিৎকার দিয়ে আটকে থাকে। এরপর স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে শেবাচিম হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানকার জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

মমিন খাবার ঘরের মালিক নূর আলম বলেন, বাউফলের বাসিন্দা সুজন ৯ হাজার টাকা বেতনে ৯ মাস আগে আমার এখানে কাজে যোগ দিয়েছিল। বেতনের টাকায় তার মা-বাবাকে দেওয়ার পাশাপাশি তার ব্যক্তিগত খরচ বহন করতো। তার পরিবারের সদস্যদের জানানো হয়েছে। মরদেহ এখনো শেবাচিম হাসপাতালের মর্গে রয়েছে বলে জানান তিনি।

কোতয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, দুর্ঘটনার কোনো তথ্য আমাদের কাছে নেই। খোঁজখবর নিয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।