|
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের অপসারণ দাবিতে দক্ষিণবঙ্গ অচলের ঘোষণা
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের অপসারণ দাবিতে দক্ষিণবঙ্গ অচলের ঘোষণা
|
|
নিজস্ব প্রতিবেদক ::: বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শুচিতা শরমিনকে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণ করা না হলে দক্ষিণাঞ্চল অচল করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। আজ সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শিক্ষক–কর্মকর্তা–কর্মচারীদের একাংশের সংহতি সমাবেশে এই হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। প্রায় দুই ঘণ্টা সমাবেশ শেষে বেলা দেড়টার দিকে একটি বিক্ষোভ মিছিল করেন তাঁরা। সেখান থেকে মঙ্গলবার দুপুরের পর ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করে ‘দক্ষিণবঙ্গ ব্লকেড’ কর্মসূচির ঘোষণা আসে। অবস্থান কর্মসূচিতে মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সুজয় শুভ, মোশারফ হোসেন, শিক্ষক হাফিজ আশরাফুল হকসহ অন্যরা বক্তব্য দেন। সুজয় বিশ্বাস শুভ বলেন, উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে ছাত্র-শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। তার পদত্যাগের জন্য ঊর্ধ্বতন কমকর্তাদেরও অবহিত করা হয়েছে। কিন্তু তারা কর্নপাত করছেন না। েমঙ্গলবার দুপুর ২টার মধ্যে দাবি মেনে নেওয়া না হলে বরিশাল-ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করে দক্ষিণবঙ্গ অচল করে দেওয়া হবে।” উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ে সেমিস্টার পরীক্ষা ছাড়া একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে শাটডাউন কর্মসসূচি অব্যাহত রয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে দিনভর ২৫টি বিভাগের পরীক্ষা চললেও শিক্ষার্থীরা ক্লাস করেনি। কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ঘোরাফেরা করে সময় কাটিয়ে চলে গেছে। কোস্টাল স্টাডিজ অ্যান্ড ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান ও সহযোগী অধ্যাপক হাফিজ আশরাফুল হক বলেন, “উপাচার্যের স্বৈরাচারী মনোভাবের কারণে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে কর্মকর্তা-কর্মচারী কেউই ভালো নেই। এই ফ্যাসিস্ট মনোভাবের উপাচার্য যদি থাকে তাহলে এই বিশ্ববিদ্যালয় ধ্বংস হয়ে যাবে।” বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান উন্মেষ রায় বলেন, “আমরা শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি জানাই। প্রশাসনের প্রতি আহ্বান থাকবে, যাকে শিক্ষক-শিক্ষার্থী কেউই চান না তাকে অবিলম্বে অপসারণ করে সংকটের সমাধান করুন।” সমাজ কর্ম বিভাগের প্রভাষক মুস্তাকিন বিল্লাহ বলেন, গত ২৮ দিন ধরে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছে। কিন্তু উপাচার্য পদত্যাগ করছেন না। এ উপাচার্য পদত্যাগ না করলে বিশ্ববিদ্যালয় উন্নত হবে না। তাই তার পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের কর্মসুচীতে শিক্ষকরাও একত্মতা প্রকাশ করেছে।” |