শনিবার ১৫ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ ৩০শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ই-পেপার   শনিবার ১৫ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

কুয়াকাটা সৈকতের ফটোগ্রাফাররা অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতিতে
কুয়াকাটা সৈকতের ফটোগ্রাফাররা অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতিতে
প্রকাশ: ১৬ জুন, ২০২৫, ৬:৫৭ অপরাহ্ণ |
অনলাইন সংস্করণ

কুয়াকাটা সৈকতের ফটোগ্রাফাররা অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতিতে
সংবাদটি শেয়ার করুন....

কুয়াকাটায় প্রতিনিধি::: কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে কর্মরত শতাধিক ফটোগ্রাফার স্টুডিও নিষিদ্ধ করে ‘অটিজি’ মাধ্যমে ছবি ট্রান্সফার বাধ্যতামূলক করার প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি ঘোষণা করেছেন। পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলা প্রশাসন সৈকতে পর্যটকদের অটিজির মাধ্যমে ছবি ডেলিভারি ও স্টুডিও বন্ধের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন না করলে এ কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

রোববার (১ মে) সকাল সাড়ে ১০টায় কুয়াকাটা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এমন সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন সৈকতের শতাধিক ফটোগ্রাফার।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সৈকতের ফটোগ্রাফার মোকলেছুর রহমান বাবু বলেন, গত ৩১ মে বিকেলে পর্যটন হলিডে হোমসে ফটোগ্রাফারদের নিয়ে একটি বৈঠক করে উপজেলা প্রশাসন। বৈঠকে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম সৈকতের ফটোগ্রাফারদের সৈকতে বসে পর্যটকদের মাঝে অটিজির মাধ্যমে সঙ্গে সঙ্গে ছবি ডেলিভারি দেওয়া ও স্টুডিও বন্ধের জন্য আগামী ৩ জুন পর্যন্ত তিন দিনের আল্টিমেটাম দেন।

সৈকতের ফটোগ্রাফার উপজেলা প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে রোববার সকাল থেকে কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন। যতদিন পর্যন্ত উপজেলা প্রশাসন তাদের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন না করবে ততদিন এ কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

তাদের অভিযোগ, অটিজি ব্যবহারে ক্যামেরা নষ্ট, ছবি ট্রান্সফারে সময়ক্ষেপণ, রেজুলেশন কমে যাওয়া ও পর্যটকদের সঙ্গে বিরোধ তৈরি হয়। অধিকাংশ ফটোগ্রাফার পুঁজি ছাড়া স্টুডিওর সহায়তায় কাজ করেন বলে স্টুডিও নিষিদ্ধ হলে তারা বেকার হয়ে পড়বেন। তারা প্রশাসনের কাছে দ্রুত এ সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছেন। অন্যথায় কর্মবিরতি চলমান থাকবে বলে জানিয়েছেন কুয়াকাটা সৈকতের ফটোগ্রাফাররা।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ফটোগ্রাফাররা দাবি করেন, তাদের নিজস্ব কোনও ক্যামেরা নেই। স্টুডিও থেকে ক্যামেরা নিয়ে তারা পর্যটকদের ছবি তুলে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। প্রত্যেক ক্যামেরাম্যানের ৪০-৫০ হাজার টাকা দাদন নেওয়া আছে। তাদের নিজস্ব পুঁজি নেই। নতুন করে ডিজিটাল ক্যামেরা কেনার সামর্থ্য নেই। দাদন শোধ করার মতো সামর্থ্য নেই।

এ বিষয়ে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম বলেন, বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী স্টুডিও বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।




এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

আমাদের ফেসবুক পেজ

সর্বাধিক পঠিত

প্রকাশক ও সম্পাদক : মোঃ ফেরদৌস ভূঁইয়া
মোবাইল : 01727493407
নির্বাহী সম্পাদক : আব্দুল হালিম জমাদ্দার
বার্তা সম্পাদক : মোঃ হাছান মাহামুদ
যুগ্ম সম্পাদক : মো:ইসমাইল খান 01711570608
সহ-যুগ্ম সম্পাদক : মো:খালিদ মাহমুদ 01722899624

ই-মেইল: dokhinersangbad@gmail.com
অফিস :নাসির সুপার মার্কেট পোর্ট রোড কেরামতিয়া মসজিদের বিপরীতে।

Design & Developed by
  সরবরাহ বাড়ায় বরিশালে দাম কমছে সবজির বাজারে। দখিনের সংবাদ   আজ মহান বিজয় দিবস, বিজয় নিশান ওড়ে বাংলার ঘরে ঘরে। দখিনের সংবাদ   উন্নয়নবিরোধীরা অরাজকতা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী। দখিনের সংবাদ   বরিশালে ঝেঁকে বসছে শীত, গরম কাপড়ের দোকানে ভিড় । দখিনের সংবাদ