|
এবার বরিশাল শিক্ষা বোর্ডে যোগদানেও বাধা, ড. হেরেনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে মন্ত্রণালয়
এবার বরিশাল শিক্ষা বোর্ডে যোগদানেও বাধা, ড. হেরেনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে মন্ত্রণালয়
|
|
নিজস্ব প্রতিবেদক ::: বিতর্ক যেনো পিছু ছাড়ছে না বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের সদ্য নিয়োগ পাওয়া সচিব অধ্যাপক ড. ফাতেমা হেরেনের। এবার গতকাল ২৭ জানুয়ারি শিক্ষার্থীদের বাধার মুখে যোগদান করতে পারেননি তিনি। এ বিষয়ে এরই মধ্যে লিখিতভাবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জানিয়েছেন বোর্ড চেয়ারম্যান। এর আগে ড. ফাতেমা হেরেন বিএম কলেজের উপাধ্যক্ষ পদে যোগদানের চেষ্টা করলেও ছাত্রদের বাধায় বাতিল হয়ে যায়। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ- আওয়ামী লীগের সঙ্গে জড়িত ছিলেন ড. ফাতেমা হেরেন। তবে বিষয়টি মানতে নারাজ তিনি। প্রতিহিংসার শিকার হচ্ছেন বলে জানান তিনি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএম কলেজের শিক্ষার্থী আকবর মুবিন বলেন, ড. ফাতেমা হেরেন আওয়ামী লীগের দোসর। তিনি বিএম কলেজের উপাধ্যক্ষ হিসেবেও যোগ দেয়ার চেষ্টা চালিয়েছেন। তখন আমরা তাকে প্রতিহত করেছি। বোর্ডে আবার সচিব হিসেবে তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। আমরা বোর্ড চেয়ারম্যানকে বলেছি, ড. হেরেনের আদেশ বাতিল করতে হবে। এ বিষয়ে বিভাগীয় কমিশনারকেও জানানো হয়েছে। অধ্যাপক ড. ফাতেমা হেরেন বলেন, প্রথমে বিএম কলেজ পরে বরিশাল শিক্ষা বোর্ড। কোনো জায়গায় যোগদান করতে দেয়া হচ্ছে না আমাকে। বিএম কলেজে আমি যদি যোগদান করি তাহলে অনেক সিনিয়র শিক্ষকের সমস্যা হবে। তাই সেখান থেকে আমাকে এই সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা চালানো হয়েছে আমিও সরে এসে গেছি। তিনি আরো বলেন, নিজ যোগ্যতায় বোর্ডের সচিব হলেও সেখানে কার কী সমস্যা শুরু হয়েছে আমি জানিনা। আমাকে যে আওয়ামী লীগের দোসর আখ্যা দেয়া হচ্ছে সেটি অসত্য। বরিশালের মেয়ে হয়েও বরিশালের ওপর থেকে আমার মন উঠে গেছে। জানিনা এর শেষ কোথায়। এ ব্যাপারে শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. ইউনুস আলী সিদ্দিকী বলেন, ছাত্রদের এ দাবি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট শাখায় জানানো হয়। এরপর পুরো ঘটনা লিখিত চাইলে আজ মঙ্গলবার সকালে সেটি লিখিত আকারে পাঠানো হয়েছে। তার যোগদানের বিষয়ে এখন মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নেবে। তিনি আরও বলেন, ২৭ জানুয়ারি ছাত্র সমন্বয়কেরা তার কার্যালয়ে এসেছিলেন। শিক্ষার্থীরা সদ্য নিয়োগ পাওয়া সচিব ড. ফাতেমা হেরেনের আদেশ বাতিলের দাবি তুলেছেন। |