|
বরিশালে থানার মধ্যে সাংবাদিককে মারধরের ঘটনায় পুলিশ কমিশনারের কাছে অভিযোগ
বরিশালে থানার মধ্যে সাংবাদিককে মারধরের ঘটনায় পুলিশ কমিশনারের কাছে অভিযোগ
|
|
নিজস্ব প্রতিবেদক ::: বরিশাল মেট্রোপলিটন কোতয়ালী মডেল থানার ওসি (অপারেশন) গাজী মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে রিপন রানা নামের এক সংবাদকর্মীকে মারধর করে থানা গারদে আটকে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমনকি রোজাদার সেই সংবাদকর্মীকে রোজা খোলার সুযোগও দেয়া হয়নি বলে অভিযোগ রিপন রানার। এ সময় তার সাথে থাকা মোবাইল, ক্যামেরা ও বুম ছিনিয়ে নিয়ে সকল ডকুমেন্ট ডিলিট করে দেয়া হয়। এ ঘটনায় বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। শনিবার (৮ মার্চ) ভুক্তভোগী বরিশাল টিভি ও বরিশাল টাইমস অনলাইন পোর্টালের রিপোর্টার রিপন রানা এ অভিযোগ দেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়- বরিশালের কনটেন্ট ক্রিয়েটর পাবেল মুন্সির সাথে সাংবাদিকদের বাগবিতন্ডা চলছে এমন খবর পেয়ে থানায় ছুটে যান রিপন। থানায় গিয়ে কনটেন্ট ক্রিয়েটর পাবেল মুন্সির সাথে দেখা হলে রিপন তার সাথে কথা বলে জানতে চান আজ কি ঘটনা ঘটেছিল। এ সময় এসআই জুবায়ের এসে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে কটুক্তিমূলক কথা বলতে থাকে। তখন রিপন এর প্রতিবাদ করলে তাৎক্ষনিক ওসি (অপারেশন) গাজী মিজানুর রহমান ছুটে এসে তিনিও সাংবাদিকদের নিয়ে কটুক্তি করেন। পরিস্থিতি বেসামাল দেখে তাৎক্ষনিক রিপন পুলিশ কমিশনারকে কল দিয়ে বিষয়টি জানালে ক্ষিপ্ত হয়ে ওসি গাজী মিজানসহ বেশ কয়েকজন পুলিশ রিপনকে বেধরক মারধর শুরু করেন। মারতে মারতে একপর্যায় তাকে থানা গারদে আটকে রাখেন। থানা গারদে আটকে পুনরায় মারধর করে তার সাথে থাকা মোবাইল, ক্যামেরা ও বুম ছিনিয়ে নিয়ে সকল ডকুমেন্ট ডিলিট করে দেয় বলে অভিযোগ রিপনের। থানা গারদে বসে রিপন রোজা খোলার জন্য পানি চাইলে তাকে পানি না দিয়ে ওসি গাজী মিজান বলতে থাকেন- ওকে কেউ পানি দিবিনা। পরে খবর পেয়ে রাত পৌণে ৮ টার দিকে বেশ কয়েকজন সাংবাদিক থানায় গেলে তাদের সাথেও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন ওসি গাজী মিজান। পরে রিপনকে অহেতুক পুলিশি হয়রানি থেকে বাঁচাতে ভুল স্বীকার করে তাকে ছাড়িয়ে আনা হয়। রিপন বলেন- এই পুরো ঘটনাটি কোতয়ালী মডেল থানার সিসি ক্যামেরায় রেকর্ড রয়েছে। সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজটি বিশ্লেষন করলে পুরো ঘটনার সত্যতা পাওয়া যাবে। আমি এর বিচার চাই। |