নিজস্ব প্রতিবেদক ::: তিনি বরিশাল সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের মেকানিক্যাল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান পবিত্র কুমার হালদার। একই প্রতিষ্ঠানে রয়েছেন প্রায় ৩০ বছর। পাশাপাশি রোভার স্কাউটের সম্পাদক রয়েছেন ১৬ বছর। এই সময়ে অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ পাহাড় গড়ে তুলেছেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বরিশাল নগরীর শিতলাখোলায় দুটি আলিশান ফ্লাট ও কাউনিয়ায় অর্ধ কোটি টাকার জমিসহ নামে বেনামে অবৈধ সম্পদ রয়েছে পবিত্র কুমার হালদারের। জানা গেছে, বরিশাল সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের চিফ ইন্সট্রাক্টর ও মেকানিক্যাল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান পদসহ বিভিন্ন পদে প্রায় ৩০ বছর ধরে কাজ করছেন পবিত্র কুমার হালদার। এর বাহিরে ৩ বছর বিভিন্ন স্থানে বদলি জনিত কারণে চাকরি করেছেন। এছাড়া রোভার স্কাউটের সম্পাদক ১৬ বছরসহ মোট ২২ বছর ধরে দায়িত্বে রয়েছেন।

বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনাকে তৈল মর্দন করে ম্যাগাজিন তৈরি করেন পবিত্র কুমার-নিউজ বরিশাল

তিনি স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের দোসর হিসেবে পরিচিত সর্ব মহলে। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারকে তেলবাজি করে কামিয়েছেন অবৈধ অর্থ। সর্বশেষ গত জুলাইয়ে প্রায় ৩ লাখ টাকা ব্যয় করে শেখ হাসিনকে নিয়ে ম্যাগাজিন তৈরি করে। যা প্রকাশ্যে আসার আগেই পতন হয় হাসিনা সরকারের। ফলে এখান থেকে মোটা অর্থ আত্মসাত করেছেন পবিত্র কুমার।কলেজের রোভার ছাত্রীদের অভিযোগ বহিরাগত এনে রোভার কার্যক্রম চালাচ্ছেন পবিত্র কুমার হালদার। ফলে রোভার কার্যক্রমে আগ্রহ নেই ছাত্রীদের। এছাড়া তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলেও অভিযোগ ছাত্রীদের।

রোভার স্কাউটের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ অস্বীকার করে শিক্ষক পবিত্র কুমার হালদার বলেন, আমরাতো গরীব মানুষ। ২০ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে ফ্লাট ও জমি ক্রয় করেছি। তাছাড়া তার স্ত্রীও একটি কলেজের প্রভাষক। তিনি আরও বলেন, রোভার স্কাউটে ভূয়া বিল ভাউচারে টাকা উত্তোলণের সুযোগ নেই। তাছাড়া সভাপতির স্বাক্ষর ছাড়া টাকা উত্তোলণ সম্ভব নয়। বিল পাসের পর রোভারগণ টাকা উত্তোলণ করে ব্যয় করেন। শেখ হাসিনাকে নিয়ে ম্যাগাজিন তৈরিতে অর্থ আত্মসাতের বিষয়টিও মিথ্যা বলে দাবী তার। তবে তিনি সংবাদটি না করার জন্য অনুরোধ করেন, কারণ আগামী দুমাস পরে সে অবসরে যাবেন।

এ ব্যাপারে পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ রুহুল আমিন বলেন, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী রোভার স্কাউটের বিল ভাউচার পাস করা হয়। এখানে অনিয়মের কোন সুযোগ নেই। ৫ আগস্টের আগেই শেখ হাসিনাকে নিয়ে ম্যাগাজিন তৈরি করা হয়েছিলো। যে কারণে বিল করা হয়েছে।