প্রশাসনকে তোয়াক্কা না করেই চলছে অবৈধ মেসার্স খান ব্রিকস।
|
![]() স্টাফ রিপোর্টার // বরিশাল বাবুগঞ্জ ক্ষুদ্রকাঠী লামচর সড়কের পাশেই ড্রাম চিমনি মেসার্স খন ব্রিকসের ভাটায় পুড়ছে কাঠ। ড্রাম চিমনি বছরের পর বছর ধরে অবৈধ ইট ভাটার কার্যক্রম পরিচালিত হলেও অদৃশ্য কারনে তাদের বিরুদ্ধে স্থায়ী কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না প্রশাসন। পরিবেশ অধিদপ্তরের বরিশাল কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের সরকারী নীতিমালা অনুযায়ী ড্রাম চিমনী ইট ভাটা সম্পূর্ণ ভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তারপরও অবৈধ ড্রাম চিমনী ইট ভাটা চলমান রয়েছে। ওই সকল ইট ভাটায় পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি সাধন করে দিব্যি পুড়ানো হচ্ছে কাঠ। ফলে ওই সকল ড্রাম চিমনী ইট ভাটার জন্য বাধ্য হয়ে কাঠ সংগ্রহ করতে হচ্ছে। সেই সাথে বসতবাড়ির আশপাশে ড্রাম চিমনী ইট ভাটা নির্মাণ করায় জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ পড়েছে হুমকীর মুখে। আইন অমান্য করে যারা অবৈধ ভাটা নির্মাণ এবং কাঠ পোড়াবেন তাঁদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ (সংশোধিত-২০১০) অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আইন কার্যকর করতে পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে গণবিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়। বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) বরিশালের সমন্বয়ক লিংকন বায়েন জানান, বরিশাল অঞ্চলে অধিকাংশ ইটভাটা অবৈধ। এসব ভাটায় কাঠ পোড়ানোর ফলে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। ভাটা মালিকদের বিরুদ্ধে পরিবেশ আইনে অনেকগুলো মামলাও করা হয়েছে। তার পরও এগুলো বন্ধ হচ্ছে না। পরিবেশ অধিদপ্তরের বরিশাল জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক কাজী সাইফুদ্দীন বলেন, আধুনিক ও উন্নত প্রযুক্তির ইটভাটা ছাড়া অন্যসব ভাটা অবৈধ। পরিবেশ আইন অনুযায়ী কোনোভাবেই ড্রাম চিমনির ভাটা করতে দেওয়া হবে না। আমরা যেহেতু জানতে পেরেছি আইনানুযায়ী ড্রাম চিমনির ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে শীগ্রই অভিযান চালানো হবে। |